সৌ র ভ ব ন্দ্যো পা ধ্যা য়
জন্মঃ ১০ জুলাই ১৯৮৬
প্রকাশিত কাব্যপ্রয়াসঃ রোদ্দুরে যাই চলো (২০০৬)একফাল্গুন শ্যাম্পুসকাল (২০১১)
নেশাঃ ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে নিরন্তর ভাবনা-চিন্তা।
শখঃ বন্ধু করা, বন্ধু করা।
কথাঃ ৯ ১ ২ ৬ ৬ ২ ২ ৯ ২ ১
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা
নক্ষত্রমুনির আদেশ ঘুম আসে না বলে যে-ই ভাবি রাতটি জাগব রাতটি জাগব অমনি নির্লজ্জের মতো ফিরে তাকাই আর কার সমস্ত দুগ্ধভার যেন চুঁইয়ে চুঁইয়ে মিশে যায়, আমার শীতল শরীর... আমি জ্যোৎস্না কুড়োতে থাকি ধানক্ষেতে আর অজানা কোনও নক্ষত্রমুনির আদেশে একসময় নিশিভোর দেকে আনি তোমার ঘুমন্ত জঠরে... ঘুম আসে না বলে যদি ভাবি রাতটি জাগব রাতটি জাগব হৃদয়পুর তোমার জন্য স্বপ্ন কারও একনীলাকাশ তোমার জন্য দুঃখ ওড়ায় অলসবিকেল হিংলোর গায়ে শরৎ জমেছে তোমার জন্যঃ মোমদেশে আজ কার বৌভাত -- অরুন্ধতীর? তোমার জন্য আলোয়-পাগল, রৌদ্রে সাঁতার একফাল্গুন শ্যাম্পুসকাল তোমার জন্য তোমার জন্য জলকথাদের জড়িয়ে ধ'রেঃ ইচ্ছা মাখে শিল্পীত-চোখ শ্রাবন্তী শীল... তোমার জন্য স্বপ্ন কারও একনীলাকাশ তোমার জন্য দুঃখ ভাসাক অদ্যবিকেল স্বপ্নউড়ান আত্মহত্যা করে দেখব একবার আত্মা কী জিনিস বাড়ির ছাদে আনাচে-কানাচে কখনও-বা পুকুরে সাঁতার কেটে খাল বিল নদী সমুদ্দুর পেরিয়ে একলাফে উঠে গিয়ে ভিন্ন গ্রহে আবার মানুষ হব আমি হয়ত তোমারই মতন সূর্য দেখব রোজ বৃষ্টির গান শুনে ঘুম আসবে রাতে প্রত্যুষে গা-ঝাড়া অন্য কোনও আমি এক-আলোকবর্ষ দূর থেকে জাগাবে এলোমেলো তারপর শুরু হবে সালোকসংশ্লেষ স্যামপেলিং মেথডে সবুজ মাপবে তুমি আর স্বপ্ন গড়াবে দুপুর পোস্ট-ইভিনিং
ঐতিহাসিক সে-সব-দিন মনে পড়লে আজকে আমার হাসি পায় বেশ সে-একদিন ঘুরেবেড়িয়ে তোমার সঙ্গে রাস্তাঘাটেঃ হাতের মধ্যে ঠুনকো-বাতাস ধরতে আবার উড়িয়ে দিতে খামখেয়ালি হৃদয় তখন দ্বন্দ্ব ছিল নিজের সঙ্গে হৃদয় তখন এম্নিই-এক... মুগ্ধ রাখত নিজেকেই সে। যখন তুমি সবুজ ঘাসে ছবি এঁকে ভাসিয়ে দিতে চুলের থেকে ফিতে টেনে উড়িয়ে দিতাম মাঠের উপর... আজকে সে-সব মনে পড়ে। মনে পড়লে আজ সে-ভীষণ হাসি পায় বেশ, বেশ হাসি পায় -- তুমুল-হাসি দিবারাত্র! হাসতে-হাসতে যখন বুঝি বালিশ ভিজে একসা-আমি ভাবতে বসি তোমার কথাই... এক্কেবারে সরাসরি তোমার কাছে দুঃখ খুঁজি দুঃখ খুঁজি বুকের মধ্যেঃ আরও দুঃখ থাকলে আমায় ভেজাও কিংবা শূন্যে-ভাসাও মেঘকে বলে অবিলম্বে ঐতিহাসিক বর্ষা নামাও!
মুগ্ধ-বাইপাস আর কতটা নিবিড় হলে সম্মতি পাব তোমার বেলাবেলি তালু ভর্তি করে এক-পশলা গোলাপি রোদ, তুমি শ্যাম্পু মাখার মতো মেখে নিয়েছ সারা গায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উড়ে আসছে পুরোনো ক্যাম্পাস শরতের হিমের মতো ঝরে-ঝরে পড়ছে কত শুভ্র-শুভেচ্ছা... আর কত কাছাকাছি এলে নিশ্চিত মিলবে সম্মতি! ঘুমের ভিতর থেকে নেমে আসছে শূন্যতা মুঠো ভর্তি করে কেউ ছড়িয়ে দিচ্ছে অজস্র জ্যোৎস্না... ছেয়ে দিচ্ছে আকাশের পিঠ; স্বপ্ন গড়ায় আজ মুগ্ধ-বাইপাসে...
No comments:
Post a Comment