সু দী প্তা দ ত্ত
জন্মঃ ১৭ জানুয়ারি ১৯৮৬
প্রকাশিত কাব্যপ্রয়াসঃ মেঘের কারুকাজ (২০১১)
শখঃ বন্ধু করা।
কথাঃ ৯ ৬ ৩ ৫ ০ ২ ৭ ৯ ৮ ৪
ই-মেলঃ sudiptakeka@gmail.com
emailatsudipta@yahoo.
রাত যায় ভেঙে ভেঙে আঁধারের মায়াবী ঘ্রাণ, কাঁচপোকার নিয়ত অভিমান, আকাশে কারও নৌকার মত চোখ আর দুধেল গাই-এর মত ঠোঁট নিয়ে নীলচে সবুজ আঁচল উড়িয়ে রাতগুলো আসে চাঁদের স্ট্রিট লাইটের পায়ে পায়ে... সমস্ত শরীর জুড়ে তার উষ্ণ শিহরন। তার স্তনের উপর ঘুমিয়ে পড়ে হলুদ বিকেল আর জলরঙা সকাল। মেঠো সুরে বয়ে যায় মাতাল হাওয়া... পথে-পথে অজস্র জুঁই ফুল পেরিয়ে কাঙ্ক্ষিত মানুষটি আসে তার আগুনে পুড়ে ছাই হতে... এভাবেই কৌমার্য ভেঙে উঠে আসে জলরঙা সকাল শিশিরের মিঠেল ঘাণে... গুমোট মেঘ ও শ্রাবণ তোমার জামার কলারে যে-মেঘ জমিয়ে রেখেছিলাম তা শ্রাবণ হয়ে ভেজাল আমাকে। এতদিন ভীষণ গুমোট আর ক্লান্ত মন সমর্পিত ছিল গাছের ছালের নীচে ঘুণপোকা কুরে-কুরে নিচ্ছিল হৃদয়... তারপর ছালের নীচে থেকে সযত্নে নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়ে এলাম উপত্যকায়। ঘুণ ধরা হৃদয় একটু-একটু করে গলে যেতে লাগল গোপনে... বহমান নদী থেকে উঠে এল আর-এক 'আমি'... সে চাতকের মত ছুটে গেল সেই কলারের কাছে -- যেখানে রেখে এসেছিলাম আমার সঞ্চিত অভিমানী মেঘের কারুকাজ। বিষাদ-পাখি স্মৃতির অতল থেকে ভেসে ওঠে চোখ দেখে নেয় নিমডালে দোল খায় বিষাদের বড় বড় ফোঁটা হলুদ পাখির নীড়-ভাঙা অভিমানে... একটা পালক খসে পড়ে মাটিতে হলুদ হয়ে গেল পালকের ছোঁয়ায়। এক-একটা রাত আসে... গভীর ঘুমঘুম রাত দেখি বেসিনের নীচে বসে আছে অভিমানী হলুদ শাড়ির কন্যা চোখ যেন ধারাপাত; জেগে ওঠে কাছে যাই আর বেসিনের কলে স্মৃতিগুলোকে ধুয়ে নিয়ে নিয়ন বাতির নীচে দাঁড়াই। একটু-একটু করে মেয়েটি মিশে যায় হলুদ পাখির দেহে... আরও-আরও দূর ভেসে যায় গান অন্য সুরে... পেখমের মত মেঘগুলো দিশেহারা একটা তিতির পাখি খুব খুশি চাতকটাও আর অভিমান করে নি... গাছের মেয়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়ি পরম নিশ্চিন্তে... আর কোনও দিন বিষাদ পাখি আসেনিআমার স্মৃতিতে...
No comments:
Post a Comment